** আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত **

কিছু কথা....

আপনাদের লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রভৃতি প্রকাশ করতে হলে লেখাটি আমাকে ইমেইল করুন। আমি সেটা নির্দিষ্ট বিভাগে, আপনার নাম দিয়ে প্রকাশ করবো।

আপনি কি কিছু খুঁজছেন ?

!! আমার ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন !!

ইমেইল এর মাধ্যমে সমস্ত পোষ্টের নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য, নিচের ফাঁকা ঘরে আপনার ইমেইল এড্রেস লিখে ‘সাবস্ক্রাইব’ বাটন-এ ক্লিক করুন।

Blank

Comming Soon

কবিতা সমগ্র

আমার নিজের ও কবিদের লেখা কবিতার সংরক্ষণ

Wednesday, May 1, 2019

আলোমনি



আলোমনি
তাপস চন্দ্র মাহাত


স্বর্ণ পরী ছিলিস না তুই
জগৎ ছিল কালো।
হৃদমাঝারে হটাৎ বসে
করলি জগৎ আলো।।

সোনালি সুরে মাতাল করে
করলি মাটির সৃষ্টি।
ভূবন মাঝারে প্রান পথিকের
ঝরিয়ে দিলি বৃষ্টি।।

যাওয়া যায় না নিকটে তোর
আগুন রাখিস জ্বেলে।
রাখবো বেঁধে চিরজীবন
একটু সুযোগ পেলে।।

রাগ করলে তপ্ত হয়ে
জ্বালিয়ে কেন মারিস।
মান ভাঙলেই শীতল হাসির
স্পর্শ দিতেও পারিস।।

হটাৎ করে কালো বাদলে
হারিয়ে যখন যাস।
বুঝিনা যে তোর রঙ্গলিলা
কিসের মজা পাস।।

সেই সকালে সাগর পারে
উঠলি দোলে দোলে।
পাহাড় কোলে বিকেল বেলা
অস্ত গেলি চোলে।।

কথা দিবিনা আমাকে তুই
আসবো ফিরে কাল।
আলো ছায়া সঙ্গি তোরে
দেবো শত সাল ।।



মৌসমি



মৌসমি
তাপস চন্দ্র মাহাত


তীষ্ণা প্রবল গ্রীষ্মকালে
তুষার কনার বেসে।
এক নিশিতে উদয় হলিস
হিমালয়ের দেশে।।

শীথলি আভার স্পর্শ দিয়ে
রিদয় ছুয়ে গেলিস।
হটাৎ করে সঙ্গে নিয়ে
হৃদয় ধুয়ে দিলিস।।

নীল বাদলে কৃষ্ণঘন
বাঁধল যখন ছায়া।
গগনপারে সুরু হল
পবন বীরের মায়া।।

আনন্দেতে অট্ট হেসে
বিজলি লতা জ্বলে।
বিশ্ববুকে জোয়ার এসে
আকশ পাতাল দলে।।

ঝরিয়ে দিয়ে শ্রাবন ধারা
প্লাবন গঙ্গা তীরে।
রামধনুতে রঙ ধরেছে
বঙ্গপুরি ঘীরে।।

কিন্তু যেদিন হারিয়ে গেলিস
দূর সমুদ্র গিয়ে।
শীতের ব্যাথায় জীর্ণ হল
স্বপ্নে হারা হিয়ে।।

আড়াল করে থাকনা সরে
থাকনা যতই দুরে।
প্রকৃতি বীনাবাঁশির সুরে
আসতে হবেই ফিরে।।



বর্ষা



বর্ষা
তাপস চন্দ্র মাহাত


আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে
দিন কাটাবো কতো
শূন্যে উড়া তীষ্নার্থ
চাতক পাখীর মতো।

গ্রীষ্ম দুপুরে তপ্ত বায়ু
বয়ে যায় দেহ দিয়ে
পাই পিপাসা কন্ঠে আমার
সয় না যে মোর হিয়ে।

ইচ্ছে করেনা ফিরতে তোমার
কোথায় গেছো তুমি
আসবে কবে ফিরে আবার
শান্ত হব আমি।

পলক আমার নামতে না চাই
এমন আকাঙ্খায়
ঊষা-গোধূলি সন্ধা-সকাল
তোমার অপেক্ষায়।

মেঘের কোলে হারিয়ে গেছো
ফিরবে যে কোন কাল
আশার প্রদিপ জ্বেলে রেখেছি
ছাড়বো না তাই হাল।



খেয়া



খেয়া
তাপস চন্দ্র মাহাত


ঝাড়বাংলার শিলাই কাঁসাই
সুবনরেখার পারে।
নাহয় যেন যেতে সেথা
আমায় বারে বারে।।

হটাৎ করে পথ হারালাম
কুল খুঁজানা পায়।
জোয়ার-ভাটা ঝড়-ঝাপটাই
আত্ম সঙ্গি নাই।।

অশ্রুধারাই বন্যা আসে
কাঁপল যে বুক মোর।
চায়না হতে প্রানমাঝিরে
সঙ্গ হারা তোর।।

উঠুক যতই ঢ়েউ এর মালা
নাইকো পাবো ভয়।
পাল টানিয়ে দুহাত দাঁড়ে
করবো খেয়া জয়।।

পার হয়ে সব সমুদ্রস্রোত
এলাম যখনে তীরে।
ক্ষুদ্র প্রানের আভাস পেলাম
নতুন জিবনে ফিরে।।

কুয়াশাঘন রাত্রি কেটে
উঠল ঊষা হেসে।
হাজার চন্দ্র সূর্য শেষে
পৌচে গেলাম দেশে।।



প্রতিজ্ঞা



প্রতিজ্ঞা
তাপস চন্দ্র মাহাত


কতো বিদেশীনি আত্মসৃজন
পরিবার শতধরা।
আপন হয়ে সঙ্গে আমার
ছিল যে মুখোস পরা।।

ভাবিনীতো  কভু নহে এরা  কেহ
বন্ধুর কত পাড়া।
জানতাম না যে ভুলে যাবে মোকে
অল্প কজন ছাড়া।।

বুঝিনী সেদিন মূল্য তোমার
রিদয়ে যেদিন ছিলাম।
আজকে কেন চায়ছো যেতে
করছো আমাই নিলাম।।

দেবোনাকো দূরে যেতে গো তোমাই
রাখিব রিদয়ে আমি।
হাতটি তোমার দাও গো আমাই
ভয় পেওনাকো তুমি।।

ছাড়িবোনা আমি তোমার দুহাত
যাবো যেতে হলে রনে।
রহিব আমি তোমাকে ঘিরে
লক্ষ শত জীবনে।।

পূর্ন করব স্বপ্ন সকল
দেখেছো যত তুমি।
ছাড়বো নাকো তোমাই যখন
পেয়েছি ফিরে আমি।।